ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
হিন্দু বাঙালির এক অতি প্রিয়, আবেগ মাখা উত্সব হল ভাইফোঁটা। কালিপুজোর পরের দিন সকালে হয় এই উত্সব।বোনেরা তাদের ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করে।হঠাৎ আমার খেয়াল হলো,এটা যম অর্থাৎ মৃত্যুর দেবতার সঙ্গে সম্পর্কিত।
ঋকবেদ অনুসারে,যম ও যমুনা ছিলেন সূর্যদেবের যমজ দুই সন্তান। বহুদিন যমুনা তার দাদাকে না দেখার জন্য তাঁর মন খারাপ করল,তাই সে তাঁর দাদা যমকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানালো। যমুনার বাড়ি যম আসতে, মাথায় চন্দনের টিকা দিয়ে যমুনা তাঁর দাদার অমরত্ব কামনা করলো। আর এই রীতি মেনেই সকল বোনেরা এই দিনে তাদের ভাইদের মঙ্গল কামনা করে থাকে।
এর সঙ্গে রয়েছে এক মজার অর্থপূর্ণ মন্ত্র যা কপালে টিকা দেওয়ার সময় উচ্চারণ করা হয়_____
"ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা॥
যমুনার হাতে ফোঁটা খেয়ে যম হল অমর।
আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর॥"
বাঙালির এই উত্সবের সঙ্গে মিল রয়েছে উত্তর ভারতের ভাইধোজ, নেপালে এবং ভারতের পূর্বভাগে ভাইটিকা ও পশ্চিমে তা ভাউবীজ নাম পরিচিত।
যম অদ্বিতীয়। সূর্যের দুই যমজ সন্তান পুরাণ মতে প্রথম যমজ প্রাণ-যম ও যমুনা। সূর্যদেবের দুই পুত্র, শনি ও যম। যাদের বিচারক মানা হয়। শনিদেব জীবদ্দশায় মানুষের কর্মের (অকর্মের) শাস্তি দেন, আর মৃত্যুর পর বিচার করেন যম।
ভাইফোঁটা হিন্দু বাঙালির কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ উত্সব মানা হয়। এ এক আবেগময় অনুষ্ঠান,যার জন্য সব ভাই-বোনরা অপেক্ষায় থাকে সেই পুরাণকাল থেকে।
যম অদ্বিতীয়। সূর্যের দুই যমজ সন্তান পুরাণ মতে প্রথম যমজ প্রাণ-যম ও যমুনা। সূর্যদেবের দুই পুত্র, শনি ও যম। যাদের বিচারক মানা হয়। শনিদেব জীবদ্দশায় মানুষের কর্মের (অকর্মের) শাস্তি দেন, আর মৃত্যুর পর বিচার করেন যম।
ভাইফোঁটা হিন্দু বাঙালির কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ উত্সব মানা হয়। এ এক আবেগময় অনুষ্ঠান,যার জন্য সব ভাই-বোনরা অপেক্ষায় থাকে সেই পুরাণকাল থেকে।
![]() |
ছবিতে দেখানো হচ্ছে যমরাজ তার বহন মহিষে চেপে রওনা দিয়েছেন। তাঁর শরীরের রঙ নীল। চার বাহু। হাতে মৃত্যুর সরঞ্জাম।
|
No comments:
Post a Comment